ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ফেনীর প্রবীণ সাংবাদিক ওছমান হারুন মাহমুদ জানান, মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা ফেনীতে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিল সেদিন।
আগের দিন ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর একটি দল কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট হতে চট্টগ্রাম যাবে, এমন তথ্য পেয়ে ফেনীতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করা হয়। তৎকালীন মহকুমা আওয়ামী লীগ সভাপতি খাজা আহমদের নির্দেশনায় সর্বদলীয় ছাত্ররা রাস্তায় গাছ কেটে পাকিস্তানি সৈন্যদের গতিরোধ করার চেষ্টা করে।
জেলার আরেক প্রবীণ সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, মহাসড়কের ফতেহপুরে নিজে গাছ কেটে সড়ক বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু যথেষ্ট প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে না পারায় গতিরোধ করা যায়নি।
সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল কমান্ডার আবদুল মোতালেব জানান, সিদ্ধান্তে অনুযায়ী পুরাতন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর ছাগলনাইয়ায় চাঁনপুর কাঠের ব্রিজটির পাটাতন খুলে ফেলা হয়। পাকিস্তানি সৈন্যদলের গতিরোধে এ পদক্ষেপটিও কাজে লাগেনি। তারা বিশেষ জাল বিছিয়ে গাড়ি পার করে নেয়। এসময় তারা এলোপাথারি গুলি ছোঁড়ে। এতে সাধারণ মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
তিনি জানান, ছাত্র-জনতা বসে থাকেনি সেদিন। খাজা আহমদের নেতৃত্বে পাকিস্তানিদের প্রতিরোধ ও পাল্টা আক্রমণের পরিকল্পনা করতে থাকে বাঙালি। ফলশ্রুতিতে ২৭ মার্চ ফেনীর সিও অফিসে পাকিস্তানি ইপিআর সদস্যদের ওপর পরিকল্পিত আক্রমণ করে ছাত্র-জনতা, সাথে অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন বাঙালি সামরিক বাহিনীর সদস্য ও পুলিশ।