মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং
  • প্রচ্ছদ

  • বাংলাদেশ

  • রাজনীতি

  • বিশ্ব

  • বাণিজ্য

  • মতামত

  • খেলা

  • বিনোদন

  • চাকরি

  • জীবনযাপন

  • শিক্ষা

  • প্রযুক্তি

  • ফেনী

  • বাংলাদেশ

    ফেনীতে একটি সেতুর অভাবে ১০ হাজর মানুষের চরম ভোগান্তি

    নিজস্ব সংবাদদাতা থেকে
    প্রকাশ: ০৫ অগাস্ট ২০২৩ ইং
          1729
    ছবি:
      Print News

    ফেনী রিপোর্ট ডেস্ক:

    ফেনীতে মাত্র একটি সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সদর উপজেলার ফরহাদনগর ইউনিয়নের “৯৬ চরকালিদাস” গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। ফেনী নদীর কোলঘেঁষে বয়ে যাওয়া শাখা নদী হিসেবে পরিচিত কালিদাস পাহালিয়া নদীর পাশেই এ গ্রামটি অবস্থিত। 

    তবে এ নদীর ওপর যোগাযোগের সংযোগ সেতু না থাকায় গ্রামটি ব্রিটিশ আমল থেকেই ইউনিয়ন,উপজেলা ও জেলা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।  

    বুধবার (০২ আগস্ট) সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, ফেনী শহর থেকে মাত্র ৮ কি:মি: দক্ষিণে ফরহাদনগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে “৯৬ চরকালিদাস” গ্রামটির অবস্থান। বর্তমানে বিচ্ছিন্ন গ্রামটিতে প্রায় ৪০০টি পরিবারের অন্তত ১০ হাজার মানুষের বসবাস

    এ গ্রামের মানুষের জন্য একমাত্র বাধা একটি নদী। নদীতে চলাচলের সেতু না থাকায় গ্রামবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বর্তমানে ওই গ্রামের মানুষের নদী পারাপারে একমাত্র ভরসা হচ্ছে ছোট্ট একটি  খেয়ানৌকা। 

    এ নৌকা দিয়ে সীমিত সংখ্যক মানুষ প্রতিদিন  জেলা-উপজেলা শহর ও ইউনিয়ন পরিষদে যাতায়াতের সুযোগ পেলেও গ্রামটির অধিকাংশ মানুষকেই প্রতিদিন নানা প্রয়োজনে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার শান্তিরহাট, বারইয়ারহাট হয়ে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটারের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এ-সব স্থানে যাতায়াত করতে হয়।

     ফলে যেখানে ২০ মিনিট সময় লাগার কথা সেখানে সময় লাগছে দেড় থেকে দুই ঘন্টা। এতে করে স্থানীয় সাধারণ মানুষ,অসুস্থ রোগী,স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও শিশু,বৃদ্ধদেরকে পড়তে হচ্ছে চরম বিপাকে।

    এদিকে কৃষি নির্ভর হওয়ায় গ্রামটির প্রান্তিক কৃষকদের আবাদকৃত ফসল ও বি়ভিন্ন খামারিরাগরু,মুরগী মাছ নিয়ে যোগাযোগের মাধ্যম সেতু না থাকায় সঠিক সময়ে বাজারজাত করতে পারছেনা। ফলে অনেক সময় তাদের কৃষিপণ্য ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে যায়। এতে কৃষক ও খামারিদেরকে লোকসান গুণতে হয়। তাদের দাবি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন না হওয়ায় তারা শিক্ষা,চিকিৎসা সেবাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত রয়েছে। 

    তারা জানান, যুগের পর যুগ ধরে বিচ্ছিন্ন এই গ্রামটির  নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের দাবী জানিয়েও আমর জেলা-উপজেলা পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন সহযোগিতা পায়নি।  জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে শুধু আশার বাণী শুনেই গেলাম, কেউই বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি । 

    ৯৬ চরকালিদাস গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, নদীর কারনে ফেনী জেলা সদরের বাসিন্দা হয়ে আমরা ব্রিটিশ আমল থেকে বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করছি। কত সরকার এলো গেল সেতুর দেখা মেলেনি। তারা আরও বলেন,আমাদের এ গ্রামটিতে কোনো কমিউনিটি ক্লিনিক নেই,গর্ভবতি ও অসুস্থ রোগীদেরকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে অনেক কষ্ট হয়। আমরা এ বিষয়ে স্থানীয় সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। 

    স্কুল ছাত্রী ফাহিমা,লিজা ও শ্রাবণী বলেন, নদীতে সেতু না থাকার কারনে আমাদের স্কুলে যেতে খুব কষ্ট হয়। নদীর পাড়ে আসলে অনেক সময় নৌকা থাকেনা, সেদিন আর স্কুলে যাওয়া হয়না। আমরা এ ভোগান্তির নিরসন চাই।

    স্থানীয় ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: শহিদুল ইসলাম শামিম বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে এ নদীতে কোন সেতু নেই যার কারনে বিচ্ছিন্ন রয়েছে গ্রামটি। কালিদাস পাহালিয়া নদীতে একটি সেতু নির্মাণ হলে নদীর দুই পাড়ের মানুষের মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরি হবে। ব্যবসা বানিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটবে।  জনসাধারণ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে।

    ফরহাদনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন টিপু বলেন, আমার ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে ৯৬ চরকালিদাস গ্রামটি অনেক আগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে নদীর কারনে। ওই এলাকার মানুষ একটি সেতুর অভাবে শিক্ষা,কৃষি সহ ইউনিয়নের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। তারা ফেনী জেলা সদরে আসতে হলে চট্রগ্রামের মিরসরাই উপজেলা দিয়ে ঘুরে আসতে হয়। জনদুর্ভোগ লাঘবে সেখানে একটি সেতু নির্মাণ খুবই প্রয়োজন। 

    স্থানীয় উপজেলা প্রকৌশলী দীপ্ত দাশ গুপ্তা বলেন,নদীর ওপর ২৫০ মিটারের একটি নতুন সেতু নির্মাণের জন্য এমপির ডিও লেটারসহ একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আশা করছি আমরা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত অনুমোদন পাবো।

    ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল বলেন, বিচ্ছিন্ন গ্রামটি ইতিমধ্যে আমরা পরিদর্শন করেছি। সেখানে ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি রাস্তার টেন্ডার হয়েছে। নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণের জন্য এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারীর ডিও লেটারসহ একটি প্রস্তাবনা প্রধান প্রকৌশলীর সাথে দেখা করে জমা দিয়েছি। এছাড়াও সেখানে একটি প্রাইমারী স্কুল ও মসজিদের অযুখানার জন্য বরাদ্দ দিয়েছি এবং একটি কমিউনিটি ক্লিনিক করার উদ্যোগ নিয়েছি।

    আপনার মন্তব্য লিখুন
    Total Visitors : 549072
    সম্পাদক ও প্রকাশক : আবদুল হালিম
    সহ-সম্পাদক : মোঃ কামাল হোসেন
    ০১৮১৪-৭২৩৩৩৪, shahosikontho71@gmail.com
    সাহসীকন্ঠ ৭১ ডট কম
    শাখা অফিসঃ
    অলি মিজি ভবন, পশ্চিম ছাগলনাইয়া, ফেনী
    প্রধান কার্যলয়
    কুড়িল বিশ্বরোড,কুড়াতলী ঢাকা-১২২৯,৩০০" ফিট রাস্তা পার্শ্বে