সাহসীকন্ঠ৭১ডটকম ডেস্কঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা অসম্ভব। তার নাম বাংলাদেশের তিনি বাঙালি জাতির মুক্তি ও ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের প্রতীক।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন স্বপ্নদ্রষ্টা, যিনি একটি স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছিলেন। তার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, যেখানে তিনি "এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম" বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তা আজও বাঙালি জাতিকে অনুপ্রাণিত করে।
কেন তাকে মুছে ফেলা যাবে না
* ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণ স্থপতি: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা, যার নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। কোনো জাতি তার জন্মদাতাকে ভুলতে পারে না।
* বাঙালি জাতীয়তাবাদের জনক: তিনি বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে প্রথম এমন একজন নেতা, যিনি বাঙালি জাতিকে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে একত্রিত করতে পেরেছিলেন।
* আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি: সারা বিশ্বে বঙ্গবন্ধু একজন আপসহীন নেতা হিসেবে পরিচিত, যিনি তার জনগণের অধিকারের জন্য লড়াই করেছেন। তার অবদান শুধুমাত্র বাংলাদেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, আন্তর্জাতিক মহলেও তার সম্মান রয়েছে।
* বাঙালির হৃদয়ে স্থান: বঙ্গবন্ধু বাঙালির হৃদয়ে এমন এক জায়গায় রয়েছেন, যা কোনো আইন বা ক্ষমতা দিয়ে মুছে ফেলা সম্ভব নয়। প্রতিটি বাঙালি তার মধ্যে তাদের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পায়।
সংক্ষেপে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসের এমন এক অংশ, যাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা অসম্ভব। তিনি চিরকাল বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে অমর হয়ে থাকবেন।
* ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, স্বাধীনতার ঘোষনায় মেজর জিয়াউর রহমান
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে ইতিহাসে বিভিন্ন ধরনের বিতর্ক ও ভিন্ন ভিন্ন মত প্রচলিত আছে। এটি একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক গণহত্যার (অপারেশন সার্চলাইট) পর এই ঘোষণাটি একটি টেলিগ্রাম বার্তার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। ২৭শে মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে একটি ঘোষণা পাঠ করেন। এই ঘোষণাটি নিয়ে দুটি প্রধান মত প্রচলিত আছে:
* একটি মত অনুযায়ী, মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। অনেকে মনে করেন যে, এটি সেই সংকটময় মুহূর্তে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে একটি সামরিক ভিত্তি ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভে সহায়তা করেছিল।
* অন্য একটি মত অনুযায়ী, মেজর জিয়া স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ঘোষণাটি পাঠ করেছিলেন, যা পরবর্তীতে জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাহস ও অনুপ্রেরণা যোগায়।
ইতিহাসে এই দুই নেতার ভূমিকা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং গবেষকদের মধ্যে বিতর্ক বিদ্যমান। তবে, এটি সর্বজনস্বীকৃত যে, শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান নেতা, এবং তাঁর ৭ই মার্চের ভাষণ এবং ২৬শে মার্চের ঘোষণার মাধ্যমেই স্বাধীনতার ডাক এসেছিল। একই সাথে, মেজর জিয়াউর রহমানের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে দেওয়া ঘোষণাটি বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষকে উজ্জীবিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
*বাংলাদেশের মানচিত্রে পতাকা নীল নকশার কারিগর ছিলেন আ. স. ম. আবদুর রব
আ. স. ম. আবদুর রব বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম একজন সংগঠক।
তার সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে দেওয়া হলো:
* স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন: ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জনতার এক সমাবেশে তিনি সর্বপ্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করেন।
* ছাত্র রাজনীতি: তিনি ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)-এর সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন।
* স্বাধীনতা সংগ্রাম: তিনি স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মুজিব বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের উপ-অধিনায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
* রাজনৈতিক দল: স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে তিনি জাসদ (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল) প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)-এর সভাপতি।
আ. স. ম. আবদুর রব বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব।