খ্রিস্টীয় ৭ম থেকে ৮ম শতাব্দী: আরব বণিকরা ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের মতো উপকূলীয় অঞ্চলে আসা-যাওয়া করতেন। তাদের মাধ্যমেই বাংলাদেশে প্রথম ইসলামের বার্তা পৌঁছায়


সাহসীকন্ঠ৭১ডট কম

২৬ জুলাই ২০২৫ ইং

বাংলাদেশে ইসলামের আগমন ঘটে মূলত দুটি প্রধান ধারায়:

১. বাণিজ্য ও সুফি সাধকদের মাধ্যমে (প্রথম দিককার আগমন):

 * খ্রিস্টীয় ৭ম থেকে ৮ম শতাব্দী: আরব বণিকরা ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের মতো উপকূলীয় অঞ্চলে আসা-যাওয়া করতেন। তাদের মাধ্যমেই বাংলাদেশে প্রথম ইসলামের বার্তা পৌঁছায়।

 * ৬২০ খ্রিস্টাব্দ: কিছু গবেষণা ও প্রাপ্ত শিলালিপি অনুসারে, নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর জন্মগ্রহণের প্রায় ৫০ বছর পর অর্থাৎ ৬২০ খ্রিস্টাব্দেই বাংলাদেশে ইসলামের আগমন ঘটে। লালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের 'মজেদের আড়া' গ্রামে ৬৯০ খ্রিস্টাব্দে দেশের প্রথম মসজিদটিও নির্মিত হয় বলে দাবি করা হয়।

 * সুফি সাধকদের ভূমিকা: ১১শ শতকে সুফি সাধক শাহ সুলতান রুমির মতো ব্যক্তিত্বরা ধর্ম প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, যা স্থানীয় জনগণকে ইসলাম গ্রহণে উৎসাহিত করে।

২. মুসলিম বিজয়ের মাধ্যমে (ব্যাপক প্রসার):

 * ১২০৪ খ্রিস্টাব্দ: ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজী কর্তৃক বাংলা বিজয়ের পর বাংলাদেশে ইসলামের ব্যাপক প্রচার ও প্রসার শুরু হয়। তার সামরিক বিজয়ের মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে ইসলামের প্রভাব সুদৃঢ় হয়।

 * ১৩শ শতাব্দী: ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে হযরত শাহজালাল (রহ.) তার তিনশত ষাট জন সঙ্গী নিয়ে সিলেটে আসেন এবং সিলেট বিজয়ের পর এই অঞ্চলে ইসলামের ব্যাপক প্রসার ঘটান।

সংক্ষেপে, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সুফি সাধকদের মাধ্যমে ৭ম-৮ম শতাব্দী থেকেই বাংলাদেশে ইসলামের আগমন শুরু হয়েছিল, তবে রাজনৈতিক বিজয় এবং সুফিদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এটি ১৩শ শতাব্দী থেকে ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ করে।