ডায়ানা ব্রিটিশ অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন


সাহসীকন্ঠ৭১ডট কম

২৬ জুলাই ২০২৫ ইং
আন্তর্জাতিক বিনোদন ডেস্কঃ

আন্তর্জাতিক বিনোদনঃ মিস ডায়ানা, প্রিন্সেস অফ ওয়েলস (জন্ম ডায়ানা ফ্রান্সেস স্পেন্সার) ছিলেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের একজন সদস্য। তিনি ১ জুলাই ১৯৬১ সালে নরফোকের স্যান্ড্রিংহামের পার্ক হাউসে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন চার্লস তৃতীয় (তৎকালীন প্রিন্স অফ ওয়েলস) এর প্রথম স্ত্রী এবং প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারির মা।

ডায়ানা ব্রিটিশ অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং রাজপরিবারের কাছাকাছি বড় হন। ১৯৭৫ সালে তার বাবা আর্ল উপাধি পাওয়ার পর তিনি লেডি ডায়ানা স্পেন্সার নামে পরিচিত হন।

১৯৮১ সালের ২৯ জুলাই লন্ডনের সেন্ট পলস ক্যাথেড্রালে প্রিন্স চার্লসের সাথে তার বিয়ে হয়। এই বিবাহ বিশ্বজুড়ে ৭৫০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ সরাসরি সম্প্রচার দেখে। বিয়ের পর তিনি "প্রিন্সেস অফ ওয়েলস" উপাধি লাভ করেন। এই ভূমিকায় তাকে জনসাধারণ অত্যন্ত উৎসাহের সাথে গ্রহণ করে।

প্রিন্সেস অফ ওয়েলস হিসেবে ডায়ানা রানীর পক্ষে রাজকীয় দায়িত্ব পালন করেন এবং কমনওয়েলথ জুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রানীর প্রতিনিধিত্ব করেন। ফ্যাশন, সৌন্দর্য, এবং এইডস রোগ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে তার অবদান, এবং ভূমি মাইনের বিরুদ্ধে তার আন্দোলন তাকে বিখ্যাত করেছিল। তার জীবদ্দশায় ডায়ানাকে বলা হত বিশ্বের সর্বাধিক আলোকচিত্রিত নারী।

১৯৯২ সালে চার্লস এবং ডায়ানার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। ১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট প্যারিসে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ৩৬ বছর। তার শেষকৃত্য ৬ সেপ্টেম্বর ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে অনুষ্ঠিত হয় এবং বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ এটি দেখেছিল।

ডায়ানা তার দাতব্য কাজ এবং মানবিকতার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন। তিনি এমন অনেক বিষয় নিয়ে কাজ করেন, যা তখনো রাজপরিবারের জন্য অস্বস্তিকর বিষয় হিসেবে বিবেচিত হতো। এইডস আক্রান্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও স্পর্শ করে তিনি কুসংস্কার ভেঙে দেন এবং ল্যান্ডমাইন প্রতিরোধ আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাকে "পিপলস প্রিন্সেস" বা "জনগণের রাজকুমারী" নামেও পরিচিতি লাভ করে।