বিদেশে জেয়ালে বন্দী হয়ে গেলে করণীয় কি


সাহসীকন্ঠ৭১ডট কম

০২ অগাস্ট ২০২৫ ইং
নিস্ব প্রতিবেদকঃ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দেশের বাইরে গিয়ে এমন বিপদে পড়লে, বিশেষ করে যখন আপনজন কেউ পাশে নেই, তখন অসহায় লাগাটা খুবই স্বাভাবিক। তবে মনে রাখতে হবে, এই পরিস্থিতিতে কিছু সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থা আছে, যারা প্রবাসীদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করে। আপনার প্রশ্নের উত্তরগুলো নিচে দেওয়া হলো:

আইনি সহায়তা পাওয়ার উপায়
বিদেশী কারাগারে আটক কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের জন্য আইনি সহায়তা পাওয়ার বেশ কিছু পথ খোলা আছে।
* দূতাবাস বা হাইকমিশন: আটক ব্যক্তির পরিবারকে প্রথমে সেই দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস বা হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। দূতাবাস কর্তৃপক্ষ স্থানীয় আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা প্রদান বা ব্যবস্থা করতে পারে।
* ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড: প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই বোর্ড কাজ করে। আটক ব্যক্তির পরিবার দেশে থাকা অবস্থায় এই বোর্ডের মাধ্যমে আইনি সহায়তার জন্য আবেদন করতে পারে। বোর্ড তখন সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেয়।
* আইনজীবী নিয়োগ: দূতাবাস সাধারণত স্থানীয় আইনজীবীদের একটি তালিকা সরবরাহ করে, যাদের মাধ্যমে আইনি পরামর্শ ও সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। তবে, এক্ষেত্রে খরচ নিজেকেই বহন করতে হতে পারে।
আটক ব্যক্তির পরিবারের করণীয়
যদি পরিবারের কোনো সদস্য বিদেশে জেলে আটক থাকেন, তাহলে দেশে বসে তার পরিবারের কিছু করণীয় আছে:
* যোগাযোগ স্থাপন: যত দ্রুত সম্ভব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় অথবা সংশ্লিষ্ট জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান কার্যালয়ে (DEMO) যোগাযোগ করুন।
* তথ্য সংগ্রহ: আটক ব্যক্তির সম্পর্কে সব তথ্য (যেমন- পাসপোর্ট নম্বর, যে দেশে আছেন, কখন এবং কোন কারণে আটক হয়েছেন) সংগ্রহ করে রাখুন। এই তথ্যগুলো কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে।
* আবেদন: পরিবারের পক্ষ থেকে একটি লিখিত আবেদন জমা দিতে হবে, যেখানে সমস্যার বিস্তারিত বর্ণনা থাকবে।
* নিয়মিত খোঁজ রাখা: দূতাবাস বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর রাখা জরুরি।
প্রবাসে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের জন্য সরকারের সাহায্য
বাংলাদেশ সরকার প্রবাসে আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য নানা ধরনের সহায়তা দিয়ে থাকে।
* দূতাবাস বা হাইকমিশনের মাধ্যমে সহায়তা: দূতাবাসগুলো প্রবাসীদের আইনি সহায়তা, খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা এবং এমনকি দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করে থাকে।
* ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সহায়তা: কোনো প্রবাসী কর্মী মারা গেলে তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া, দেশে লাশ পরিবহনের খরচ দেওয়া এবং আহত বা অসুস্থ কর্মীদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া এই বোর্ডের অন্যতম কাজ।
* প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক: বিমানবন্দরে এই ডেস্কগুলো কাজ করে। বিদেশগামী ও প্রবাসফেরতদের নানা সুবিধা, অভিযোগ এবং নিরাপত্তার বিষয়ে তারা সহায়তা করে।