জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব


আবদুল হালিম গাজীঃ

০৭ অগাস্ট ২০২৫ ইং

আবদুল হালিম গাজীঃ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তার অবদান এবং তার রাজনৈতিক জীবন বিতর্কিত হলেও, রাষ্ট্রের জন্য তার কিছু উল্লেখযোগ্য অবদানকে একটি কাঠামোতে সাজিয়ে দেওয়া হলো।

স্বাধীনতা যুদ্ধে ভূমিকা

স্বাধীনতার ঘোষণা: ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। যদিও স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে তাকে নিয়ে বিতর্ক আছে, তবে তার এই ঘোষণাটি সে সময় মুক্তিকামী মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছিল।

মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডার: তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় একজন সেক্টর কমান্ডার এবং জেড ফোর্সের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার নেতৃত্বে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। এই অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করে।

রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার

বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা: ১৯৭৫ সালের পট পরিবর্তনের পর তিনি দেশে সামরিক শাসন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের দিকে ফিরে আসার উদ্যোগ নেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন, যা দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

র্থনৈতিক স্বনির্ভরতা: তিনি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেন। এর মধ্যে ছিল বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করা, তৈরি পোশাক শিল্পকে রপ্তানি উপযোগী করে তোলা এবং মধ্যপ্রাচ্যে জনশক্তি রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথ সুগম করা। এই নীতিগুলো দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করে।গ্রা

ম সরকার ব্যবস্থা: তিনি স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়নের জন্য ‘গ্রাম সরকার’ ব্যবস্থা চালু করেন। এর লক্ষ্য ছিল গ্রামের মানুষকে সরাসরি স্থানীয় প্রশাসনে যুক্ত করা এবং তাদের সমস্যার সমাধান করা।

বৈদেশিক সম্পর্ক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা

সার্ক প্রতিষ্ঠা: তিনি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য সার্ক (SAARC) গঠনের উদ্যোগ নেন। যদিও তার জীবদ্দশায় এর প্রতিষ্ঠা হয়নি, তবে তার এই উদ্যোগের ফলেই পরে সার্ক গঠিত হয়। এই কারণে তাকে সার্কের স্বপ্নদ্রষ্টা বলা হয়।

মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন: তার শাসনামলে বাংলাদেশের সঙ্গে মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সম্পর্ক উন্নত হয়। এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের কাজের সুযোগ বাড়ে, যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

এই কাঠামোটি জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রের প্রতি অবদানগুলো একটি সুস্পষ্ট উপায়ে তুলে ধরে।