সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং
  • প্রচ্ছদ

  • বাংলাদেশ

  • রাজনীতি

  • বিশ্ব

  • বাণিজ্য

  • মতামত

  • খেলা

  • বিনোদন

  • চাকরি

  • জীবনযাপন

  • শিক্ষা

  • প্রযুক্তি

  • ফেনী

  • বাণিজ্য

    আইএমএফের ঋণের সুদহার কত

    sbit থেকে
    প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ইং
          1839
    ছবি:
      Print News

    লেনদেনে ভারসাম্য, বৈদেশিক বাণিজ্যের ঘাটতি মেটানো, বাজেটসহায়তা ও জলবায়ুসংকট মোকাবিলার মতো বিভিন্ন প্রয়োজনে সদস্যদেশগুলোকে শর্ত সাপেক্ষে ঋণ দেয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এই ঋণ দেওয়া হয় সংস্থাটির নিজস্ব অর্থব্যবস্থা স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস বা এসডিআরের মাধ্যমে। কিন্তু কোথা থেকে এত অর্থ পায় আইএমএফ? তাদের দেওয়া ঋণে সুদের হারইবা কেমন, তা থাকছে এই প্রতিবেদনে।

    এসডিআর কী

    স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস বা এসডিআর হলো আইএমএফের একধরনের নিজস্ব অর্থব্যবস্থা। আইএমএফের সম্পদ ও ঋণকে এসডিআর এককে গণনা করা হয়। তবে এটি নিজে কোনো মুদ্রা নয়, একটি ধারণামাত্র। এসডিআরের মান ধরা হয় মার্কিন ডলার, ইউরো, চীনা রেনমিনবি, জাপানি ইয়েন ও পাউন্ড—এই পাঁচ মুদ্রার আনুপাতিক গড় হিসাব করে। তবে বিশ্বের সব কেন্দ্রীয় ব্যাংকই এর মূল্যমানকে সমর্থন করে। যেকোনো মুদ্রার সঙ্গে এই ভার্চ্যুয়াল সম্পদকে বিনিময় করা যায়। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো আইএমএফের এসডিআরকে যেকোনো মুদ্রায় নিজেদের রিজার্ভে গণনা করতে পারে। এর মাধ্যমে একটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে যায়। নিয়মিত এসডিআরের মূল্যমান হালনাগাদ করা হয়। গত শুক্রবার ১ এসডিআরের মূল্যমান ছিল ১ দশমিক ৩৩ মার্কিন ডলার।

    কোথা থেকে অর্থ পায় আইএমএফ

    মূলত তিনটি উৎস থেকে আইএমএফ তহবিল বা অর্থ সংগ্রহ করে। এক. সদস্য চাঁদা বা কোটা। দুই. ঋণ গ্রহণ। তিন. দ্বিপক্ষীয় ঋণচুক্তি। আইএমএফের সদস্যের মধ্যে কোন দেশ কত টাকা চাঁদা দেবে, তা কোটা আকারে নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে। একটি দেশের প্রদত্ত চাঁদার পরিমাণ বিশ্ব অর্থনীতিতে দেশটির অর্থনৈতিক আকারের সঙ্গে সংগতি রেখে নির্ধারণ করা হয়। এই চাঁদাই সংস্থাটির আয়ের প্রধান উৎস। তবে কোনো সদস্যদেশ চাইলে নির্ধারিত কোটার বেশি চাঁদা দিতে পারে।

    সদস্যদের চাঁদা থেকে আইএমএফের তহবিলে জমা আছে প্রায় ৪৭ হাজার ৬২৭ কোটি ২০ লাখ এসডিআর। এর মধ্যে বাংলাদেশের জন্য নির্দিষ্ট রয়েছে ১০৬ কোটি ৬৬ লাখ এসডিআর, যা মোট এসডিআরের দশমিক ২২ শতাংশ।

    এ ছাড়া সদস্যরাষ্ট্র থেকে প্রয়োজন হলে আইএমএফ ঋণ নেয়। এটিও সংস্থাটির আয়ের একটি উৎস। এর পাশাপাশি সদস্যদেশগুলোকে আইএমএফ ঋণসহায়তা দেয়। এ থেকে সুদবাবদ যে অর্থ আসে, সেটাও সংস্থাটির আয়ের বড় উৎস।

    কত অর্থ আছে আইএমএফের কাছে

    ১৯৪৪ সালে ৪৪টি দেশ মিলে আইএমএফ গঠন করে। বর্তমানে বিশ্বের ১৯০টি দেশ আইএমএফের সদস্য। সদস্য চাঁদা ও অন্যান্য আয় মিলিয়ে বর্তমানে আইএমএফের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৯৭ হাজার ৭০০ কোটি (৯৭৭ বিলিয়ন) এসডিআর। এর মধ্যে ঋণ দেওয়ার পর্যায়ে রয়েছে ৭১ হাজার ৩০০ কোটি (৭১৩ বিলিয়ন) এসডিআর। একে মার্কিন মুদ্রায় প্রকাশ করলে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ কোটি মার্কিন ডলার হয়।


    আপনার মন্তব্য লিখুন
    Total Visitors : 549022
    সম্পাদক ও প্রকাশক : আবদুল হালিম
    সহ-সম্পাদক : মোঃ কামাল হোসেন
    ০১৮১৪-৭২৩৩৩৪, shahosikontho71@gmail.com
    সাহসীকন্ঠ ৭১ ডট কম
    শাখা অফিসঃ
    অলি মিজি ভবন, পশ্চিম ছাগলনাইয়া, ফেনী
    প্রধান কার্যলয়
    কুড়িল বিশ্বরোড,কুড়াতলী ঢাকা-১২২৯,৩০০" ফিট রাস্তা পার্শ্বে